রেসকোর্স, ৭ মার্চ ও একটি ইসলামী জলসার গল্প
এডিট করার সময় এক রহস্যজনক কারণে পোস্টটি গায়েব হয়ে যাওয়ায় আরো তথ্যসংযুক্তিসহ আবারও পোস্টানো হলো
সাদামাটা খবরটা এরকম : ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্স ময়দানে একটি বিশাল ইসলামী জলসার আয়োজন করা হয়। দেশে সামরিক শাসন বলবৎ থাকলেও ইসলামী জলসা মোটেও রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠান বলে বিবেচিত হয়নি। যদিও আয়োজকদের রাজনৈতিক পরিচিতি কয়েকবছর পর স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলামীর সদস্য।
আগের বছর ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত দলটি নিষিদ্ধ ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিলগ্নে (ডিসেম্বর ১৯৭১) এক বিবৃতিতে মুসলিম লীগ, নেজাম ই ইসলামী ও জামাতে ইসলামীসহ সব ধরণের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয় যা সেদিন পর্যন্ত বলবত থাকে। খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা দখল করার পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। আর তার উত্তরসূরী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তাদের অবাধ রাজনীতির সুযোগ দেন।
খবরের বিশেষ খবর : সীরাত মাহফিল নামের ওই ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তৃতা করেছেন উপ-সামরিক আইন প্রশাসক এয়ার ভাইস মার্শাল এম জি (মোহাম্মদ গোলাম) তোয়াব। তার সংক্ষিপ্ত পরিচিত তুলে ধরা যাক। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে এখনও কিংবদন্তীর মর্যাদা পেয়ে থাকেন তিনি। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে বীরের মতো লড়েছেন, খেতাব পেয়েছেন। তার অনেক ছাত্র গুরুর মর্যাদা রেখেছে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আবেদন করা হলেও তোয়াব তা প্রত্যাখ্যান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসর নিয়ে জার্মানি (তখনকার পশ্চিম জার্মানি) চলে যান তিনি, ইনস্ট্রাকটরের চাকুরি নেন ন্যাটোর এয়ারফোর্স স্কুলে। এর আগে অনেকগুলো কোর্সের সুবাদে এলাকাটা তার পরিচিত। বিয়ে করেন স্থানীয় মেয়ে হেনরিয়েটাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাকে দেশে উড়িয়ে আনা হয়। এ.কে খন্দকারকে সরিয়ে তাকে বিমান বাহিনী প্রধান করা হয় সরাসরি এয়ার ভাইস মার্শাল পদবী দিয়ে। ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে তিনি উপ-সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থানের সময় তোয়াব খালেদ মোশাররফের পক্ষে ছিলেন। তাকে ব্যাজ পড়িয়েছেন মেজর জেনারেলের যার ছবি পত্রিকায় এসেছে।
খবরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খবর : যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই জলসায় অতিথি হিসেবে ছিলেন পাকিস্তান ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতেরা। সভায় অভিযোগ করা হয় যে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ইসলাম ও রসুল সম্পর্কে কোনো আলোচনা করা সম্ভবপর ছিল না। ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে এয়ার ভাইস মার্শাল তোয়াব ঘোষণা করেন যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘দায়িত্বভার’ আমাদের’। তার বক্তৃতার সময় শ্লোগান ওঠে- তোয়াব ভাই, তোয়াব ভাই, চাঁন-তারা পতাকা চাই। জলসার আয়োজকরা ৬ দফা দাবী পেশ করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো দেশের নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ঘোষণা, জাতীয় পতাকা পরিবর্তন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন, ইসলামী বিরোধী ও বেদাতি শহীদ মিনার ধ্বংস করা। (ইত্তেফাক, ৮ মার্চ, ১৯৭৬)
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর রেডিওতে মেজর ডালিম বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার খবর জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন। খবরটি লুফে নেয় পাকিস্তান। আর জেদ্দায় আশ্রয় নেওয়া গোলাম আযম মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কাছে আবেদন জানায় ইসলামী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে। ১৬ আগস্ট সৌদি আরব সাবেক লেকচারার গোলামের অনুরোধ রাখে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, এই রেসকোর্সেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার মৃত্যুর পরের বছরই সেই একই দিনে ভয়ানক স্পর্ধায় লাখো রাজাকার-আলবদরের শো ডাউন ঘটায় জামাত। ১৯৮০ সালের ৭ ডিসেম্বর যদিও স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে প্রথম সংবাদ সম্মেলনটি করে তারা। সেখানেও তারা দাবি তোলে একটি ইসলামী সংবিধান প্রণয়নের। এই কাজটা তারা আগেই করতে পারতো যদি তোয়াব তাদের আশাপূরণে সফল হতেন। কি সেই আশা? সে এক ভয়ানক ষড়যন্ত্রের গল্প।
খবরের ফলো-আপ : পরের মাসে অর্থাৎ ১৯৭৬ সালের ৩০ এপ্রিল বগুড়া সেনানিবাসে একটি অভ্যুত্থান ঘটে। ফার্স্ট বেঙ্গল ক্যাভালেরি ও ফার্স্ট বেঙ্গল ল্যান্সারসের এই বিদ্রোহের নায়ক হয়ে আবির্ভূত হন কর্ণেল ফারুক রহমান! আগের বছর ৩ নভেম্বর জেল হত্যা ঘটিয়ে বিশেষ একটি বিমানে দেশ ছেড়েছিলেন ‘বিদ্রোহী ৬ মেজরের’ অন্যতম ফারুক (যদিও তার পদবী ছিলো কর্ণেল, কিন্তু মিডিয়ায় তিনি অবনমিত), চুক্তি হয়েছিলো তারা আর দেশে ফিরবেন না। অভিযোগ ওঠে তোয়াব গোপনে ফারুকসহ চারজনকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। আর তারাই নেতৃত্ব দেন এই সেনা বিদ্রোহের। বিদ্রোহীদের দাবী ছিলো বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং ক্ষমতায় তাদেরও অন্তর্ভূক্তি।
সেনা প্রধান জিয়া কঠোরহাতেই এই বিদ্রোহ দমন করেন। যদিও ফারুককে মানাতে তার বাবা-মা ও বোন দেনদরবার করেন। তাদের মধ্যস্থতায় ঠিক হয় তার বিচার না করে তাকে দেশত্যাগ করতে দেওয়া হবে। যদিও পরে ফারুককে জিয়া কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়েছেন, এরশাদ দিয়েছেন ফ্রিডম পার্টির ব্যানারে রাজনীতি করার অধিকার। এই ঘটনায় তোয়াবের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ভেস্তে যায় একটি (জামাতে) ইসলামী বিপ্লবের ভয়াবহ নীলনকশা। ১৯৯৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই নষ্ট বিপ্লবের জনক।
সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক ৮ মার্চ ১৯৭৬
বাংলাদেশ, বাঙালি ও বাংলাদেশী, নির্বাচিত প্রবন্ধ (ডঃ আনিসুজ্জামান, পৃ. ১৪৯-১৫০)
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন
God willing: the politics of Islamism in Bangladesh ( By Ali Riaz)
সাদামাটা খবরটা এরকম : ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্স ময়দানে একটি বিশাল ইসলামী জলসার আয়োজন করা হয়। দেশে সামরিক শাসন বলবৎ থাকলেও ইসলামী জলসা মোটেও রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠান বলে বিবেচিত হয়নি। যদিও আয়োজকদের রাজনৈতিক পরিচিতি কয়েকবছর পর স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলামীর সদস্য।
আগের বছর ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত দলটি নিষিদ্ধ ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিলগ্নে (ডিসেম্বর ১৯৭১) এক বিবৃতিতে মুসলিম লীগ, নেজাম ই ইসলামী ও জামাতে ইসলামীসহ সব ধরণের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয় যা সেদিন পর্যন্ত বলবত থাকে। খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা দখল করার পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। আর তার উত্তরসূরী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তাদের অবাধ রাজনীতির সুযোগ দেন।
খবরের বিশেষ খবর : সীরাত মাহফিল নামের ওই ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তৃতা করেছেন উপ-সামরিক আইন প্রশাসক এয়ার ভাইস মার্শাল এম জি (মোহাম্মদ গোলাম) তোয়াব। তার সংক্ষিপ্ত পরিচিত তুলে ধরা যাক। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে এখনও কিংবদন্তীর মর্যাদা পেয়ে থাকেন তিনি। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে বীরের মতো লড়েছেন, খেতাব পেয়েছেন। তার অনেক ছাত্র গুরুর মর্যাদা রেখেছে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আবেদন করা হলেও তোয়াব তা প্রত্যাখ্যান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসর নিয়ে জার্মানি (তখনকার পশ্চিম জার্মানি) চলে যান তিনি, ইনস্ট্রাকটরের চাকুরি নেন ন্যাটোর এয়ারফোর্স স্কুলে। এর আগে অনেকগুলো কোর্সের সুবাদে এলাকাটা তার পরিচিত। বিয়ে করেন স্থানীয় মেয়ে হেনরিয়েটাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাকে দেশে উড়িয়ে আনা হয়। এ.কে খন্দকারকে সরিয়ে তাকে বিমান বাহিনী প্রধান করা হয় সরাসরি এয়ার ভাইস মার্শাল পদবী দিয়ে। ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে তিনি উপ-সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থানের সময় তোয়াব খালেদ মোশাররফের পক্ষে ছিলেন। তাকে ব্যাজ পড়িয়েছেন মেজর জেনারেলের যার ছবি পত্রিকায় এসেছে।
খবরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খবর : যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই জলসায় অতিথি হিসেবে ছিলেন পাকিস্তান ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতেরা। সভায় অভিযোগ করা হয় যে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ইসলাম ও রসুল সম্পর্কে কোনো আলোচনা করা সম্ভবপর ছিল না। ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে এয়ার ভাইস মার্শাল তোয়াব ঘোষণা করেন যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘দায়িত্বভার’ আমাদের’। তার বক্তৃতার সময় শ্লোগান ওঠে- তোয়াব ভাই, তোয়াব ভাই, চাঁন-তারা পতাকা চাই। জলসার আয়োজকরা ৬ দফা দাবী পেশ করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো দেশের নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ঘোষণা, জাতীয় পতাকা পরিবর্তন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন, ইসলামী বিরোধী ও বেদাতি শহীদ মিনার ধ্বংস করা। (ইত্তেফাক, ৮ মার্চ, ১৯৭৬)
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর রেডিওতে মেজর ডালিম বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার খবর জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন। খবরটি লুফে নেয় পাকিস্তান। আর জেদ্দায় আশ্রয় নেওয়া গোলাম আযম মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কাছে আবেদন জানায় ইসলামী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে। ১৬ আগস্ট সৌদি আরব সাবেক লেকচারার গোলামের অনুরোধ রাখে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, এই রেসকোর্সেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার মৃত্যুর পরের বছরই সেই একই দিনে ভয়ানক স্পর্ধায় লাখো রাজাকার-আলবদরের শো ডাউন ঘটায় জামাত। ১৯৮০ সালের ৭ ডিসেম্বর যদিও স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে প্রথম সংবাদ সম্মেলনটি করে তারা। সেখানেও তারা দাবি তোলে একটি ইসলামী সংবিধান প্রণয়নের। এই কাজটা তারা আগেই করতে পারতো যদি তোয়াব তাদের আশাপূরণে সফল হতেন। কি সেই আশা? সে এক ভয়ানক ষড়যন্ত্রের গল্প।
খবরের ফলো-আপ : পরের মাসে অর্থাৎ ১৯৭৬ সালের ৩০ এপ্রিল বগুড়া সেনানিবাসে একটি অভ্যুত্থান ঘটে। ফার্স্ট বেঙ্গল ক্যাভালেরি ও ফার্স্ট বেঙ্গল ল্যান্সারসের এই বিদ্রোহের নায়ক হয়ে আবির্ভূত হন কর্ণেল ফারুক রহমান! আগের বছর ৩ নভেম্বর জেল হত্যা ঘটিয়ে বিশেষ একটি বিমানে দেশ ছেড়েছিলেন ‘বিদ্রোহী ৬ মেজরের’ অন্যতম ফারুক (যদিও তার পদবী ছিলো কর্ণেল, কিন্তু মিডিয়ায় তিনি অবনমিত), চুক্তি হয়েছিলো তারা আর দেশে ফিরবেন না। অভিযোগ ওঠে তোয়াব গোপনে ফারুকসহ চারজনকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। আর তারাই নেতৃত্ব দেন এই সেনা বিদ্রোহের। বিদ্রোহীদের দাবী ছিলো বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং ক্ষমতায় তাদেরও অন্তর্ভূক্তি।
সেনা প্রধান জিয়া কঠোরহাতেই এই বিদ্রোহ দমন করেন। যদিও ফারুককে মানাতে তার বাবা-মা ও বোন দেনদরবার করেন। তাদের মধ্যস্থতায় ঠিক হয় তার বিচার না করে তাকে দেশত্যাগ করতে দেওয়া হবে। যদিও পরে ফারুককে জিয়া কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়েছেন, এরশাদ দিয়েছেন ফ্রিডম পার্টির ব্যানারে রাজনীতি করার অধিকার। এই ঘটনায় তোয়াবের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ভেস্তে যায় একটি (জামাতে) ইসলামী বিপ্লবের ভয়াবহ নীলনকশা। ১৯৯৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই নষ্ট বিপ্লবের জনক।
সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক ৮ মার্চ ১৯৭৬
বাংলাদেশ, বাঙালি ও বাংলাদেশী, নির্বাচিত প্রবন্ধ (ডঃ আনিসুজ্জামান, পৃ. ১৪৯-১৫০)
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন
God willing: the politics of Islamism in Bangladesh ( By Ali Riaz)
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home