মুর্তি পুজা এবং হিন্দু ধর্মে
ইসলাম ধর্মের সমালোচনায় অনেক পোষ্ট দেওয়া হ্য়। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উপর কোন পোষ্ট আমার চোখে পড়েনি। তাই হিন্দু ধর্মের উপর একটি পোষ্ট দেওয়ার চিন্তা করলাম, তবে সমালোচনামুলক নয়। হিন্দু ধর্মে সত্যিকার অর্থে খোদা বা স্রষ্টার যে বর্ননা দেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এর সাথে প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি যে হিন্দু ধর্ম সমন্ধে আমার খুব ভাল একটা ধারনা নেই। তবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থের কিছু পংক্তি পড়ে আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে হিন্দু ধর্ম সত্যিকার অর্থে একত্ববাদে বিশ্বাসী।
হিন্দু ধর্মের বই বেদ, ব্রহ্মা সুত্রা, উপনিষদ ভগবত গীতায় স্রষ্টার যে বিবরন দেয়া হয়েছে তা নীচে দেওয়া গেল।
অযুরবেদঃ
চাপ্টার নং৩২, ভারস নং ৩ এ বলা হয়েছে, আতিস্তিয়া প্রাতিমা আসতি, তার কোন ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি নেই। আরো বলা হয়েছে, তার কোন জন্ম নেই।
চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৮ এ বলা হয়েছে, তার কোন দেহ নেই এবং সে শুদ্ধ।
চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৯ এ বলা হয়েছে, তারা অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা বায়ু, পানি আর আগুনের মত প্রাকৃতিক জিনিষের পুজা করছে আর তারা আরো বেশি অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা সৃষ্ট জিনিষকে পুজা করছে।
উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ১৯ এ বলা হয়েছে, তার মত আর কেউ নেই।
উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, তার আকৃতি দেখা যায় না এবং তাকে কেউ চোখে দেখতে পায় না।
উপনিষদের (চান্দগিয়া) চাপ্টার নং ৬, সেকসন ২ ভারস নং ১ এ বলা হয়েছে, তার কোন মাতাপিতা নেই, তার কোন প্রভু নেই, সে একাই যথেষ্ট এবং কারো উপ্র নিরভ্রশীল নয়।
রিক বেদের বই নং ৮, হাইম নং ১, ভারস নং এ বলা হয়েছে, আচ দাঙ্গাদি সামসসাত্রা অরথ্যা তার ছাড়া আর কারো ইবাদত করনা। সব প্রশংসা তার।
বই নং ৬, হাইম নং ৪৫, ভারস নং ১৬ এ বলা হয়েছে, তারই প্রসংশা কর যে অদ্বিতীয় এবং যার কোন তুলনা নেই।
ভগবত গীতার চাপ্টার নং ৭, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, যাদের বুদ্ধি জাগতিক লোভে লোপ পেয়েছে তারাই মুর্তি পুজা(ডেমি গড) করে, এরাই বৈষয়িক মানুষ যারামুর্তি পুজা করে, তারা সত্যিকারের সর্বশক্তিমানের খোদার ইবাদত করেনা।
বেদান্তের হিন্দু তত্তের প্রধান ব্রহ্মা সুত্রা হল গিয়ে খোদা শুধুমাত্র একজন, দ্বিতীয় কেউ নেই, একেবারেই নেই, একেবারেই নেই, বিন্দুমাত্র নেই।
কোন হিন্দু ভাইয়ের এব্যাপারে কোন উপদেশ বা মন্তব্য থাকলে প্লিজ জানাবেন। তাহলে আসল সত্যটি জানার সুযোগ ঘটবে।
আর উপরের কথাগুলো যদি সত্য হয় তাহলে হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামের যে মৌলিক পার্থক্যের কথা বলা হয় তার অবসান ঘটবে।
হিন্দু ধর্মের বই বেদ, ব্রহ্মা সুত্রা, উপনিষদ ভগবত গীতায় স্রষ্টার যে বিবরন দেয়া হয়েছে তা নীচে দেওয়া গেল।
অযুরবেদঃ
চাপ্টার নং৩২, ভারস নং ৩ এ বলা হয়েছে, আতিস্তিয়া প্রাতিমা আসতি, তার কোন ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি নেই। আরো বলা হয়েছে, তার কোন জন্ম নেই।
চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৮ এ বলা হয়েছে, তার কোন দেহ নেই এবং সে শুদ্ধ।
চাপ্টার নং ৪০, ভারস নং ৯ এ বলা হয়েছে, তারা অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা বায়ু, পানি আর আগুনের মত প্রাকৃতিক জিনিষের পুজা করছে আর তারা আরো বেশি অন্ধকারে প্রবেশ করছে যারা সৃষ্ট জিনিষকে পুজা করছে।
উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ১৯ এ বলা হয়েছে, তার মত আর কেউ নেই।
উপনিষদের (সবেতা সাত্রা) চাপ্টার নং ৪, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, তার আকৃতি দেখা যায় না এবং তাকে কেউ চোখে দেখতে পায় না।
উপনিষদের (চান্দগিয়া) চাপ্টার নং ৬, সেকসন ২ ভারস নং ১ এ বলা হয়েছে, তার কোন মাতাপিতা নেই, তার কোন প্রভু নেই, সে একাই যথেষ্ট এবং কারো উপ্র নিরভ্রশীল নয়।
রিক বেদের বই নং ৮, হাইম নং ১, ভারস নং এ বলা হয়েছে, আচ দাঙ্গাদি সামসসাত্রা অরথ্যা তার ছাড়া আর কারো ইবাদত করনা। সব প্রশংসা তার।
বই নং ৬, হাইম নং ৪৫, ভারস নং ১৬ এ বলা হয়েছে, তারই প্রসংশা কর যে অদ্বিতীয় এবং যার কোন তুলনা নেই।
ভগবত গীতার চাপ্টার নং ৭, ভারস নং ২০ এ বলা হয়েছে, যাদের বুদ্ধি জাগতিক লোভে লোপ পেয়েছে তারাই মুর্তি পুজা(ডেমি গড) করে, এরাই বৈষয়িক মানুষ যারামুর্তি পুজা করে, তারা সত্যিকারের সর্বশক্তিমানের খোদার ইবাদত করেনা।
বেদান্তের হিন্দু তত্তের প্রধান ব্রহ্মা সুত্রা হল গিয়ে খোদা শুধুমাত্র একজন, দ্বিতীয় কেউ নেই, একেবারেই নেই, একেবারেই নেই, বিন্দুমাত্র নেই।
কোন হিন্দু ভাইয়ের এব্যাপারে কোন উপদেশ বা মন্তব্য থাকলে প্লিজ জানাবেন। তাহলে আসল সত্যটি জানার সুযোগ ঘটবে।
আর উপরের কথাগুলো যদি সত্য হয় তাহলে হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামের যে মৌলিক পার্থক্যের কথা বলা হয় তার অবসান ঘটবে।
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home