জেলাসমূহের নামকরণ (পর্ব-১)
সব কিছুর নামকরণের একটা বিশেষ কারণ থাকে বা বিশেষ কোন পরিস্থিতির কারনেই কোন স্থান, কাল বা পাত্রের নামকরণ করা হয়। বিভিন্ন জেলার নামকরণ কিভাবে হলো, তার প্রচলিত ধারণাগুলো নিচে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এ পর্বে দেখুন-
ঢাকাঃ বল্লাল সেন কতৃক নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি। অনেকে আবার বলেন ১৬১০ সালে ইসলাম খাঁ বুড়িগঙ্গার কাছে ঢাক বাজিয়ে যতদুর পর্যন্ত শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সীমানা নির্ধারন করে ওই এলাকার রাজধানী বানান, সেই এলাকাই ’ঢাকা’ নামে পরিচিত। ঢাক নামক গাছ থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি বলেও কেউ কেউ মনে করেন।
নারায়ণগঞ্জঃ হিন্দু ধর্মীয় দেবতা নারায়ণ ঠাকুরের নামানুসারে নারায়ণগঞ্জ নামকরন হয়।
মুন্সীগঞ্জঃ মোঘল আমলে এখানে একটা কেল্লা ছিল। এই কেল্লার নাম ইদ্রাকপুর কেল্লা। কেল্লার নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ হয় ইন্দ্রাকপুর। উনবিংশ মতকের শুরুতে এটি রামপালের মুন্সি এনায়েত আলী সাহেবের জমিদারিভুক্ত হয়। পরে নামকরণ হয় মুন্সীগঞ্জ।
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণের পেছনে তিনজনের নামের তথ্য পাওয়া যায়। এরা হলেন- সুফি সাধক মানিক শাহ্, দুর্ধর্ষ পাঠান সরদার মানিক ঠালী এবং নবাব সিরাজউদৌলার বিশ্বাষঘাতক অমাত্য মানিক চাঁদ। এদের যে কোন একজনের নামানুসারে মানিকঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গাজীপুরঃ দিল্লির সম্রাট মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে পালোয়ান গাজী নামক জনৈক মুসলিম বীর এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে পালোয়ান গাজীর নামানুসারে এই এলাকার নাম হয় গাজীপুর।
রাজবাড়ীঃ মোঘল আমলের জমিদার রাজা সূর্যকুমারের নাম অনুসারে রাজবাড়ী নামকরণ হয়েছে।
টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইল শব্দটি টাঙ্গাই শব্দ থেকে উৎপত্তি। এ অঞ্চলে মোকলা স¤প্রদায় নামে একটি গোষ্টি বাস করত। এ মোকলা স¤প্রদায়ের সর্দারকে বলা হতো টাঙ্গাই। এ টাঙ্গাইয়ের নামানুসারে টাঙ্গাইল নাম হয়েছে।
নরসিংদীঃ রাজা নরসিংহের নামানুসারে নামকরণ হয় নরসিংদী।
মাদারীপুরঃ হযরত বদর উদ্দিন শাহ মাদারের(রহঃ) নামানুসারে নামকরণ হয় মাদারীপুর।
শরীয়তপুরঃ হাজী শরীয়তউল্লাহর নামানুসারে নামকরণ হয় শরীয়তপুর।
ফরিদপুরঃ প্রাচীন নাম ফতেহবাদ। কামেল পীর শেখ ফরিদের নাম অনুসারে ফরিদপুর নামকরণ হয়েছে।
গোপালগঞ্জঃ দক্ষিনেশ্বরের রানী রাসমনির নাতি গোপালের নামানুসারে নামকরণ হয় গোপালগঞ্জ।
ময়মনসিংহঃ প্রাচীন নাম মোমেনশাহী এবং নাছিরাবাদ। এ জেলাকে নিয়ে প্রচলিত ছড়া হল, হাওর, বাওর, মহিষের শিং, এই তিনে ময়মনসিংহ। একদা এ অঞ্চলে প্রচুর মহিষ ছিল। মহিষের শিং থেকে মোমেন শাহী আর এ থেকেই ময়মনসিংহ। আবার কেউ কেউ বলেন মোমেন শাহ পীরের নাম থেকে মোমেনশাহী হয়েছে।
জামালপুরঃ হযরত শাহ জামাল (রহ.) নামানুসারে নামকরণ করা হয় জামালপুর।
নেত্রকোনাঃ নদীর বাঁকটি নেত্রের কোণের মতো এবং মগরা নদী পরিবেষ্টিত স্থানটি চোখের কোণের সাদৃশ্য থাকার কারনে নাম হয়েছে নেত্রকোনা ।
কিশোরগঞ্জঃ মসলিন কারিগর কৃষ্ঞ দাশ বসাকের সাত পুত্রের মধ্যে তিন জনের নাম হলো বজ্র কিশোর বসাক, কিশোর মোহন বসাক ও নন্দ কিশোর বসাক। এদের তিন জনের নামের অংশ নিয়েই কিশোরগঞ্জ গ্রামের উৎপত্তি।
ঢাকাঃ বল্লাল সেন কতৃক নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি। অনেকে আবার বলেন ১৬১০ সালে ইসলাম খাঁ বুড়িগঙ্গার কাছে ঢাক বাজিয়ে যতদুর পর্যন্ত শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সীমানা নির্ধারন করে ওই এলাকার রাজধানী বানান, সেই এলাকাই ’ঢাকা’ নামে পরিচিত। ঢাক নামক গাছ থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি বলেও কেউ কেউ মনে করেন।
নারায়ণগঞ্জঃ হিন্দু ধর্মীয় দেবতা নারায়ণ ঠাকুরের নামানুসারে নারায়ণগঞ্জ নামকরন হয়।
মুন্সীগঞ্জঃ মোঘল আমলে এখানে একটা কেল্লা ছিল। এই কেল্লার নাম ইদ্রাকপুর কেল্লা। কেল্লার নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ হয় ইন্দ্রাকপুর। উনবিংশ মতকের শুরুতে এটি রামপালের মুন্সি এনায়েত আলী সাহেবের জমিদারিভুক্ত হয়। পরে নামকরণ হয় মুন্সীগঞ্জ।
মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণের পেছনে তিনজনের নামের তথ্য পাওয়া যায়। এরা হলেন- সুফি সাধক মানিক শাহ্, দুর্ধর্ষ পাঠান সরদার মানিক ঠালী এবং নবাব সিরাজউদৌলার বিশ্বাষঘাতক অমাত্য মানিক চাঁদ। এদের যে কোন একজনের নামানুসারে মানিকঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গাজীপুরঃ দিল্লির সম্রাট মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে পালোয়ান গাজী নামক জনৈক মুসলিম বীর এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে পালোয়ান গাজীর নামানুসারে এই এলাকার নাম হয় গাজীপুর।
রাজবাড়ীঃ মোঘল আমলের জমিদার রাজা সূর্যকুমারের নাম অনুসারে রাজবাড়ী নামকরণ হয়েছে।
টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইল শব্দটি টাঙ্গাই শব্দ থেকে উৎপত্তি। এ অঞ্চলে মোকলা স¤প্রদায় নামে একটি গোষ্টি বাস করত। এ মোকলা স¤প্রদায়ের সর্দারকে বলা হতো টাঙ্গাই। এ টাঙ্গাইয়ের নামানুসারে টাঙ্গাইল নাম হয়েছে।
নরসিংদীঃ রাজা নরসিংহের নামানুসারে নামকরণ হয় নরসিংদী।
মাদারীপুরঃ হযরত বদর উদ্দিন শাহ মাদারের(রহঃ) নামানুসারে নামকরণ হয় মাদারীপুর।
শরীয়তপুরঃ হাজী শরীয়তউল্লাহর নামানুসারে নামকরণ হয় শরীয়তপুর।
ফরিদপুরঃ প্রাচীন নাম ফতেহবাদ। কামেল পীর শেখ ফরিদের নাম অনুসারে ফরিদপুর নামকরণ হয়েছে।
গোপালগঞ্জঃ দক্ষিনেশ্বরের রানী রাসমনির নাতি গোপালের নামানুসারে নামকরণ হয় গোপালগঞ্জ।
ময়মনসিংহঃ প্রাচীন নাম মোমেনশাহী এবং নাছিরাবাদ। এ জেলাকে নিয়ে প্রচলিত ছড়া হল, হাওর, বাওর, মহিষের শিং, এই তিনে ময়মনসিংহ। একদা এ অঞ্চলে প্রচুর মহিষ ছিল। মহিষের শিং থেকে মোমেন শাহী আর এ থেকেই ময়মনসিংহ। আবার কেউ কেউ বলেন মোমেন শাহ পীরের নাম থেকে মোমেনশাহী হয়েছে।
জামালপুরঃ হযরত শাহ জামাল (রহ.) নামানুসারে নামকরণ করা হয় জামালপুর।
নেত্রকোনাঃ নদীর বাঁকটি নেত্রের কোণের মতো এবং মগরা নদী পরিবেষ্টিত স্থানটি চোখের কোণের সাদৃশ্য থাকার কারনে নাম হয়েছে নেত্রকোনা ।
কিশোরগঞ্জঃ মসলিন কারিগর কৃষ্ঞ দাশ বসাকের সাত পুত্রের মধ্যে তিন জনের নাম হলো বজ্র কিশোর বসাক, কিশোর মোহন বসাক ও নন্দ কিশোর বসাক। এদের তিন জনের নামের অংশ নিয়েই কিশোরগঞ্জ গ্রামের উৎপত্তি।
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home