কন্যাসন্তান হয় বাবার কারণে
একজন মা মেয়েশিশু জন্ম দিলে গঞ্জনার শেষ থাকে না। বাংলাদেশের গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত সবখানেই এ ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্ত- সন্তান ছেলে হবে, না মেয়ে হবে-এর পেছনে ভূমিকা থাকে পুরুষ বা বাবার, কোনোভাবেই মায়ের নয়। বৈজ্ঞানিকভাবে বললে বলতে হয়, নারীর ডিম্বাণুতে থাকে xx, আর পুরুষের শুক্রাণুতে থাকে xy ক্রেমোজোম। নারীর x আর পুরুষের y মিলিত হলে ছেলেসন্তান হয়, আর পুরুষের x-এর সঙ্গে নারীর x মিলিত হলে মেয়েসন্তান হয়। হিসাবটা খুব পরিষকার। পরিবর্তনটা হচ্ছে পুরুষের কারণে। এখানে নারীর কোনো হাত নেই।
কিন্ত- বিজ্ঞানের এত অগ্রগতির যুগেও যখন ভুল ব্যাখ্যা শুনি, তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমাদের দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিষয়টি জেনেও অনেকে মানতে চায় না, নাকি তাদের সঠিক শিক্ষা নেই? কদিন আগে পত্রিকায় পড়লাম, এক রিকশাচালক ঢাকায় এসেছেন রিকশা চালাতে। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা, যাঁদের দুটো মেয়ে আছে। স্ত্রীকে তিনি বলে এসেছেন, এবার মেয়ে হলে তালাক দেবেন! তৃতীয়বার মেয়েসন্তান হওয়ার পর মা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আরেকটা ঘটনা বলি, এক লোক দুবাই থেকে এসে এক চিকিৎসকের মেয়েকে বিয়ে করে দুবাই চলে গেলেন। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা; তাঁর শাশুড়ি বলে বেড়াচ্ছেন, ছেলে না হলে তাঁকে রাখবেন না। মেয়েসন্তান হওয়ার পর তাঁকে বাচ্চাসহ বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি-আপনি সবাই। বিনা কারণে মেয়েদের নারকীয় যন্ত্রণা কেন পোহাতে হবে? স্বাস্থ্যসচেতনতা সমপর্কে এত কথা বলা হয়, কিন্ত- আমাদের দুঃখিনী বোনদের দেখার জন্য কেউ নেই। আরও বহু ঘটনা আমাদের অজান্তে ঘটছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে সমাজে বিভেদ করা উচিত নয়। তার পরও যদি কেউ ছেলেসন্তান চেয়ে না পায়, এর জন্য দায়ী হচ্ছে পুরুষ; এর জন্য নারীকে দোষারোপ করা উচিত নয়।
এত নারীনির্যাতন শিক্ষিত সমাজ কেমন করে সহ্য করে! সবাই নির্বিকার হয়ে থাকলে চলবে না। সব স্বাস্থ্যকর্মী ও ক্লিনিকে এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য পোসটার দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে। সবার কাছে সঠিক সংবাদ জানাতে হবে। ২০০৯ সালে এসে এসব কুসংস্কারের কারণে নারীনির্যাতন চলতে দেওয়া যায় না। আসুন, আমরা সবাই সতর্ক হই, যেন আর কোনো দুঃখিনী মা-বোনের নির্মম মৃত্যু না হয়।
কিন্ত- বিজ্ঞানের এত অগ্রগতির যুগেও যখন ভুল ব্যাখ্যা শুনি, তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমাদের দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিষয়টি জেনেও অনেকে মানতে চায় না, নাকি তাদের সঠিক শিক্ষা নেই? কদিন আগে পত্রিকায় পড়লাম, এক রিকশাচালক ঢাকায় এসেছেন রিকশা চালাতে। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা, যাঁদের দুটো মেয়ে আছে। স্ত্রীকে তিনি বলে এসেছেন, এবার মেয়ে হলে তালাক দেবেন! তৃতীয়বার মেয়েসন্তান হওয়ার পর মা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আরেকটা ঘটনা বলি, এক লোক দুবাই থেকে এসে এক চিকিৎসকের মেয়েকে বিয়ে করে দুবাই চলে গেলেন। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা; তাঁর শাশুড়ি বলে বেড়াচ্ছেন, ছেলে না হলে তাঁকে রাখবেন না। মেয়েসন্তান হওয়ার পর তাঁকে বাচ্চাসহ বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি-আপনি সবাই। বিনা কারণে মেয়েদের নারকীয় যন্ত্রণা কেন পোহাতে হবে? স্বাস্থ্যসচেতনতা সমপর্কে এত কথা বলা হয়, কিন্ত- আমাদের দুঃখিনী বোনদের দেখার জন্য কেউ নেই। আরও বহু ঘটনা আমাদের অজান্তে ঘটছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে সমাজে বিভেদ করা উচিত নয়। তার পরও যদি কেউ ছেলেসন্তান চেয়ে না পায়, এর জন্য দায়ী হচ্ছে পুরুষ; এর জন্য নারীকে দোষারোপ করা উচিত নয়।
এত নারীনির্যাতন শিক্ষিত সমাজ কেমন করে সহ্য করে! সবাই নির্বিকার হয়ে থাকলে চলবে না। সব স্বাস্থ্যকর্মী ও ক্লিনিকে এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য পোসটার দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে। সবার কাছে সঠিক সংবাদ জানাতে হবে। ২০০৯ সালে এসে এসব কুসংস্কারের কারণে নারীনির্যাতন চলতে দেওয়া যায় না। আসুন, আমরা সবাই সতর্ক হই, যেন আর কোনো দুঃখিনী মা-বোনের নির্মম মৃত্যু না হয়।
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home