Youngali Story, History, Solution, Picture, Song, Video, Scandels and Romance

Youngali Story, History, Solution, Picture, Song, Video, Romance......any thing for your one friend.

Tuesday, November 10, 2009

সঙ্গম ও গর্ভধারন সম্পর্কিত কয়েকটি প্রস্তাবনা

এক.

যারা সঙ্গম করেন ,দয়া করে আজ থেকে তারা আর সঙ্গম করবেন না। কেননা আপনার সঙ্গমে জম্ম হতে পারে কোন বিপ্লবীর। যে অস্বীকার করতে চাইবে আপনাদের স্বৈরশাসককে;স্বৈরশাসকের মুখোশি মানবতা, মৌলিক অধিকারের গালগপ্পোকে।যে ছুড়ে ফেলে দিতে পারে আপনাদের নপুংশক ধর্মের মিথ্যা বাকোয়াজিকে।যে বঙ্গভবনের সামনে উলঙ্গ হয়ে প্রকাশ করবে তার তার বস্ত্রহীনতার লজ্জা।যাকে জনগনের শাসন,বাক-স্বাধীনতা,ধর্ম নিরপেক্ষতা জাতীয় রসগোল্লা মার্কা বুলিকে বিশ্বাস করানোর তাগাদায় প্রচারযন্ত্র,পাঠ্যপুস্তক,সংবিধান জুড়ে মূল্যবান কলমের মূল্যহীন বিষ্ঠা ছড়াবে রাষ্ট্রীয় অধিপতিরা। খুচিয়ে খুচিয়ে রক্তাত্ত করবে বিপ্লবীর মুক্তিকামী মস্তিষ্ককে। হিজড়া রাষ্ট্র শিশু-বিপ্লবীর ভয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে লেলিয়ে দেবে বুট-রাইফেল-সানগ্লাসময় প্রজাতন্ত্রের রক্ষাকর্তাদের(!)।শহর-গ্রাম-মাছবাজার-গণিকালয়-শহীদ মিনার-সংসদ ভবন-বিশ্ববিদ্যালয়-গণ শৌচাগার-তরকারীর হাট জুড়ে জাড়ি করবে ওয়ান-ফোরটি-ফোর।

দুই.
যে মা আজ চুড়ান্ত পোয়াতি; সে হয়তো একটু পরেই প্রসব করবে ফুটফুটে শিশু। প্রিয় মা; তোমার পা-এ পড়ি। তোমার সন্তান জন্ম নিয়ে চোখ ফোটার আগেই ওকে কিছু একটা খাইয়ে মেরে ফেলো! আর যদি তা না পারো তাহলে তোমাকে দেখতে হবে প্রবল শীতে কাপড়ের অভাবে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসা খোকামনির করুন চাহনি ! অথচ তুমি তার গায়ে তুলে দিতে পারবে না এক টুকরো গরম কাপড়। চিকিৎসার অভাবে তোমার নবজাতকের শ্বাসরোধ হয়ে আসবে; আর তখন তোমার রাষ্ট্র আর তার খাদেমসকল মিলে শিশু স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসেবা,মানবাধিকার জাতীয় প্রলাপের ছেবড়ি তুলবেন লাল-কালো হরফের নামী-দামী সংবাদপত্রে;টেলিভিশনের রঙিন পর্দায়। গনতন্ত্রের যাদুকরী সংগা-না-বোঝা তোমার অবুঝ শিশুটির দেহ ব্যাথায় কুঁকড়ে যাবে। তুমি কিছুতেই সইতে পারবে না সে সব যন্ত্রনা অথচ কিছুই করার নেই তোমার। প্রিয় মা; এসবের চেয়ে এই ভালো,মেরে ফেলো শিশুটিকে! কিছু কিছু মরে যাওয়া বেঁচে থাকার চেয়েও বেশি স্বস্তিদায়ক। মা পারবে না এতটুকু হিংস্র হতে?যে মা পেটে চার...পাঁচ...ছ্রয়... মাস বয়সি ভ্র“ন-শিশু নিয়ে যাচ্ছেন হাট-বাজারে;ভাঙছেন ইট;কাজ করছেন কোন গার্মেন্টেসে-তার কাছে একটা অনুরোধ। আজ রাতে আপনার ভালোবাসার মানুষটি সারা দিনের ব্যাস্ততা সেরে যখন বাসায় ফিরবে; ওকে আপনার পেটে জোড়ছে একটা লাথি মারতে বলবেন। যেন আপনার উরূসন্ধি চুইয়ে পড়ে ভবিষ্যতের ‘মানুষ’ ভ্র“ন-শিশুটি। তাহলে ওকে আর সইতে হবে না বেচেঁ থাকার বিড়ম্বনা। সইতে হবে না বস্ত্রহীনতার লজ্জা। সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে না শিক্ষাহীন অনালোকিত জীবনের জোয়াল। তাকে দেখতে হবে না স্বৈরশাসকের কুৎসিত-ভয়াল মূর্তি। তার বুকের উপর বুট আর রাইফেল বসিয়ে কেউ আরোহন করতে পারবে না গন -স্বৈরতান্ত্রিক পাওয়ার হাউসে;লুই আই কানের লাল দালানে।

তিন.

খুব সম্ভবত সামরিক বাহিনীর কিছু সংখ্যক সদস্য ছাড়া বাংলাদেশের আর কোন নাগরিক স্বপ্নেও ভাবেননি তাদের জীবনে নেমে আসবে কারফিউর খড়গ। কোন সন্তান তার গুরুতর অসুস্থ মাকে নিয়ে যেতে পারবে না হাসপাতালে। ছোট শিশু কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে যেতে পারবে না ইশ্কুলে। গ্রামের সহজ-সরল বাবার স্বপ্নের দায়ভার মাথায় নিয়ে যে তরুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে ;সে করতে পারবে না তার ক্লাস। যারা দিনএনে দিন খায়,তাদের খাবারের সময় এখন তিনবেলা থেকে এক বেলা করে নিয়েছে। কারো কারো ঘরে তোউনুন ই জ্বলে না! এক বে লা না খেতে পেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে কত শিশুর মুখ। অথচ আমাদের জেনারেলদেও ঘরে অগাধ খাদ্য। তাদের ফ্যাশনাবল কন্যারা জলপাই রঙা গাড়ি করে ছুটছে ফ্যাশন হাউসে। তাদের অতিশিক্ষিত সন্তানেরা হেঁটে বেড়াচ্ছেন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দা। এক ফকরুদ্দিন;এক মইনের নিরাপত্তার জন্য কত শত নিরাপত্তা কর্মী। অথচ তুলতুলে মেঘের মতো অবুঝ কিশোরীরা হচ্ছে ধর্ষিত। ”আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?” আমরা কি চেয়েছিলাম স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র ৩৭ বছরের মধ্যেই আমাদের রাষ্ট্রটির ঘিলুর পচন ঘটবে; আর প্রধান হয়ে উঠবে তার হাত-পা; চুল-বাল। মানুষের যখন মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেতখন তার হাত-পা-মুখ যেমন তার নিজের জন্য তেমনি আর পাঁচ জনের জন্য হয়ে ওঠে ক্ষতিকর। বিকৃত মস্তিষ্কের এই রাষ্ট্রে তার লোভী রাষ্ট্রযন্ত্র কেবল সুবিধা আদায় আর সুযোগ বুঝে ক্ষমতারোহন ছাড়া কিছুই বোঝে না। রাষ্ট্রকে নোংড়া নর্দমায় ফেলে তাকে গণধর্ষণ করতে এতটুকু বাঁধে না জলপাই রঙা মানুষগুলোর।এমনি করে আর কতদিন? আমাদের বুকের ক্ষোভ-ঘৃনা একদিন একসাথে জ্বলে উঠবে। আর সেদিন বুকউঁচিয়ে বলবো- উই ফাক্ জেনারেল...উই ফাক্ জেনারেল...উই ফাক্...! সামান্য সাহস আর কিছু স্বপ্নকে সম্বল করে যখন আমরা দাড়াবো সামনে,পালানো ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না জলপাই রঙা জেনারেলদের।

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home