ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত টিপস্
১
আওয়ামী পুলিশের নির্যাতন জাতীয়তাবাদী কর্মীদের পছন্দ না। আবার জাতীয়তাবাদী পুলিশের লাঠিপেটা আওয়ামী কর্মীদের বড়ই অপছন্দ। আসল সত্যটা হলো, আমরা শাসকদের লাথি খেতেই ভালবাসি।
২
রাজনীতি একধরনের খেলা; দুর্বৃত্ত আর উদ্ধতরাই যেখানে জয়ী হয়।
৩
হাসিনা খালেদা দুটি বড় সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান, এই মিথ্যাটি দশবার বললে সত্য হয়ে যায়। কথাটি ভয়াবহ সত্য জেনেই এটিকে আমরা মিথ্যা ভাবি।
৪
গরীব রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ পাপ। গরীব এবং দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ মহাপাপ। কিন্তু গরীব এবং দুর্নীতিগ্রস্ত মুসলিম রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ খুব সম্ভবত অপরাধ।
৫
অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরনো মৌলবাদী দল।
৬
ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের সবাই হজে যান ক্বাবা দর্শনের লোভে নয়, সৌদি দাক্ষিণ্য লাভে।
৭
শেখ মুজিবের মতো 'সেলেব্রিটি ইমেজ' নেই বলেই বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরা সাধারণ কোন মানুষের হত্যাকান্ডের বিচার চান না।
৮
আব্দুল গাফফার চৌধুরী আওয়ামী লীগের কর্মী নন, দালাল।
৯
জীবনে একবারও যদি কোন কারণে জামায়াতে ইসলামের পক্ষে কথা বলে থাকেন, তবে জানবেন, আপনি শুধু সুবিধাবাদীই নন- নৈতিক অধপতনগ্রস্থ।
১০
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাঐক্য জোটে এরশাদের যোগদান কোন রাজনৈতিক সখ্যতা নয়, রাজনৈতিক ব্যাভিচার।
১১
জামায়াত, জাতীয়পার্টি এবং বামদল বাংলাদেশের রাজনীতির উচ্ছিট অন্নভোগী।
১২
রাজনীতিতে উচ্চাভিলাষী সেনাপ্রধান নয়, চেনা দুর্নীতিবাজই বেশী গণত্ন্ত্রী।
১৩
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া অচিকিৎস্য এক ধরনের চর্মরোগের মতো, শীতকালে যার প্রকোপ বাড়ে।
১৪
শেখ মণিকে দুস্কৃতকারী বললে শেখ হাসিনা তার প্রতিবাদ করেন। আপনার মতো মহামান্য আদালতও জানেন না আসল সত্যটি কি।
১৫
শেখ হাসিনার পূর্বপুরুষ আরব থেকে এসেছিলেন। খালেদা জিয়ারও তাই। খাঁটি বাংলাদেশী কিংবা বাংগালী কোন রাজনীতিবিদ কি দেশে আছেন?
১৬
গণতন্ত্রের কোন শারীরিক অবয়ব নেই বলেই শতভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত সাংসদদের কতিপয় জেলহাজতে গেলেই গণতন্ত্র বিনষ্ট হয়না। যেমন, নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়না।
১৭
মুজিব কোট আর মৃত মুজিব ছাড়া এখন আওয়ামী লীগের আর কি আছে?
১৮
জামায়াত এখনো বিএনপির কাঁধে ভর করেনি, হাত রেখেছে মাত্র।
১৯
আমাদের পক্ষে সবই সম্ভব, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা ছাড়া।
২০
শুধু এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, সেপ্টম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর কিংবা জানুয়ারী ছাড়া ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারী, মার্চ কিংবা আগষ্ট মাসে একজন জামায়াত নেতা কি ভাবেন আন্দাজ করা যায়।
২১
একজন মা তার রাজাকার পুত্রের পাতে ভাত তুলে দিচ্ছেন; একজন মা একজন খুনীর শরীরে পুষ্টির যোগান দিচ্ছেন।
২২
পল্টন ময়দানে এরশাদের সাথে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার কি নূর হোসেনের কথা মনে পড়ে?
২৩
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, হাজি সেলিমেরও একটি মুজিব কোট আছে।
২৪
হাসিনা এবং খালেদার পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ আর তার প্রকাশ নোংরা নয়, কুৎসিত।
২৫
পাকিস্তান ছাড়া শুধুমাত্র বাংলাদেশেই রাজনীতিবিদদের ইউনিফর্ম চালু আছে।
২৬
হাসিনা রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে 'ইয়েস' উদ্দিন নামে ডাকলেও ওয়াজেদ মিয়াকে কোনদিন 'ওয়াজ হেড' মিয়া বলে ডাকেননি।
২৭
বাংলাদেশে পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা একে অন্যকে ঘৃনা করে; নেতারা একে অন্যকে ঘৃনা করে এবং কুৎসিত ভাষায় গালি দেয়; কর্মীরা একে অন্যকে ঘৃনা করে, কুৎসিত ভাষায় গালি দেয় এবং খুন করে।
২৮
রাজনীতিতে অপছন্দ শব্দটির একটিই মানে- ঘৃনা।
২৯
'আমার কম্বল কোথায়'-এর মতো করে খালেদা জিয়া বলতেই পারেন, 'আমার টিন কোথায়?'
৩০
খাসা বাংলায় সংস্কার শব্দটির মানে- 'মাইনাস'।
৩১
ক্ষমতা আর কবিত্ব শক্তি একত্রে মানুষকে চরিত্রহীন করে তুলতে পারে, এরশাদকে দেখেই বোঝা যায়।
৩২
বাংলাদেশে শেখ মুজিবকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী গান; আর গোলাম আযমকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী ছড়া লেখা হয়েছে।
৩৩
রাজনীতিবিদরা সুবিধাজনক অবস্থান থেকে বিকৃত, অস্পট এবং বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গটি মনে রেখেছেন।
৩৪
বিদিশার ঘর ভাঙ্গার দায় শুধু জাতীয় পার্টি এবং এরশাদের নয়, আওয়ামী লীগ আর বিএনপি'রও।
৩৫
রাজনীতিবিদরা নিজেদের প্রতিপক্ষের জন্য গর্ত খোঁড়েন এবং সবাইকে নিয়ে সেই গর্তে পড়েন।
৩৬
হাজি সেলিম আর নাসির উদ্দিন পিন্টুর মাঝ থেকে যখন একজনকে ভোট দেয়া 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির' কিংবা 'শহীদ জিয়ার সৈনিকদের' নৈতিক দায়িত্ব- সেই নির্বাচনে মনুষত্বই পরাজিত হয়।
৩৭
সীমান্তের বাইরে আমাদের প্রভু নয়, বন্ধু রয়েছে। কিন্তু দূতাবাস গুলোতে রয়েছে ঈশ্বর।
৩৮
বাতিল হওয়া নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' কথাটি নতুন শিখেছেন। আর আমরা শিখেছি দুটো- 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' এবং 'মনোনয়ন বাণিজ্য'।
৩৯
জেল হচ্ছে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের জন্য আশীর্বাদ; ওখান থেকে তারা চৌর্যবৃত্তির জন্য সত্যিকারের সার্টিফিকেট লাভ করেন।
৪০
বিএনপি'র 'সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের' পদের পরেই তিতাস
গ্যাসের 'মিটার রিডারের' চাকরি বেশী লাভজনক।
৪১
এরশাদ তার সকল সাবেক স্ত্রী এবং বান্ধবীদের টুকরো টুকরো জাতীয় পার্টি উপহার দিয়েছেন।
৪২
রাজা এবং রাজপুত্রদের চারিত্রিক স্খলন বাংগালীরা অন্যায় ভাবেন না। আকণ্ঠ অন্যায় করে স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমা পেয়েছে, আর তারেক জিয়া তো পাবেই।
৪৩
কবি সৈয়দ শামসুল হক শেখ হাসিনাকে 'গণতন্ত্রের মানস কন্যা', 'ভাষা কন্যা', 'ধান কন্যা' ইত্যাদি উপাধি দিয়েছেন। উপাধির ভাঁড়ারও শেষ হয়; চামচামি অফুরান।
৪৪
একে-৪৭ রাইফেলের উৎপত্তি চল্লিশের দশকের শেষভাগে, রাশিয়ায়। কাটা রাইফেলের উৎপত্তি আশির দশকের শুরুতে, বাংলাদেশে।
৪৫
বিএনপি'র ছত্রছায়ায় গোলাম ফারুক অভি হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসী। জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে অভি এখন একাধারে লম্পট এবং সন্ত্রাসী।
৪৬
এস.এম হলের টিভি রুমে যেদিন ক্যান্টিন বয় 'টোকাই সাগর' রাইফেল হাতে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে বসে টিভি দেখলো, সেদিনই বুঝলাম মাও সেতুং ঠিকই বলেছেন, 'বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস'।
৪৭
ক্ষমতা হচ্ছে নির্বিষ সাপের মতো; যা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের গলায় ঝুলে আছে।
৪৮
১৯৯১-এ বিএনপি'র নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা ছিল 'শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়ন'। ১৯৯৬-এ বিএনপি'র নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা ছিল 'শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়ন'। ২০০১-এ বিএনপি'র নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা ছিল 'শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়ন'।
শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়নে সমস্যাটা কোথায়?
৪৯
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলে ধরে নিতে হবে আপনি জামায়াত কিংবা বিএনপি'র সমর্থক। বিএনপি'র সমালোচোনা করলে মনে হবে অবশ্যই আপনি আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল।
৫০
'ঈশ্বর বাংগালীদের নরকে কোন পাহাদার রাখবে না; নরক থেকে কেউ পালাতে চাইলে অন্য বাংগালীরাই তার পা টেনে ধরব।' ডঃ ইউনুসের রাজনীতি থেকে পশ্চদপসারন পুরনো এই গল্পের খুব ছোট এক উদাহরণ।
৫১
'প্রবল বামপন্থী' নেতা এবং 'প্রকট বাম-ভাবাদর্শী' লেখক বুদ্ধিজীবিরাই একাত্তর পরবর্তীতে 'চরম ডান' এবং 'তথাকথিত মধ্যপন্থীতে' রূপান্তরিত হয়েছেন।
৫২
শেখ হাসিনা তার সততা আর অধিকার আদায়ে লড়াকু মনোভাব প্রকাশ করতে মাঝে মাঝেই বলেন, 'আমি জাতির পিতার কন্যা'। শেখ হাসিনা 'জাতির পিতা' আর 'জৈবিক পিতৃত্ব' শব্দ দু'টির পার্থক্য জানেন না।
৫৩
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন মানে, এক নারীর 'জনগণের বিজয় হয়েছে' এবং অন্যজনের 'জনগণ প্রত্যাখান করেছে' বাণী।
৫৪
দুর্নীতির দায়ে সর্বোচ্চ কতজন জামায়াত নেতা জেলে গেলে জামায়াতে ইসলামী 'সৎলোকের শাসন চাই' শ্লোগানটি পরিহার করবে?
৫৫
ভোটের আগে শেখ হাসিনা তসবি হাতে পোষ্টার ছাপেন; আর জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামি ফতোয়া দেন, 'ইসলামে নারী নেত্রীত্ব হারাম'। রাজনীতিতে বাংগালীদের 'মুসলিম সেন্টিমেন্ট' কিঞ্চিত স্পর্শকাতর।
৫৬
রাজনৈতিক ব্যভিচারীদের প্রিয় বুলি, 'জনগণের সেবা' এবং মাতৃভূমিকে ধর্ষণউদ্যোত লম্পটদের শেষ বুলি, 'সংবিধান রক্ষা'।
৫৭
'নিজামি', 'সাঈদী' অথবা 'গোলাম আযম' ইত্যাদি বাংলা ভাষায় 'মীর জাফর' বিশেষণটির প্রতিশব্দ।
৫৮
'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' কথাটির মানে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো যা নিজেই একটি বিবাদমান পক্ষ এবং সেনা সমর্থিত।
৫৯
বাংলা ভাষায় 'ধূর্ত' শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য।
৬০
দাগী মস্তানেরাই রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের কর্মী। তবে উঠতি সন্ত্রাসীরা সাধারন সম্পাদকের পদ লাভ করে।
৬১
যখন কোন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই', তখন বুঝে নিতে হবে- স্বাধীনতা বিরোধী অথবা জামায়াতপন্থী কোন বিএনপি নেতা মনোনয়ন বাণিজ্যে নৌকা মার্কা লাভ করেছেন।
৬২
বাংলাদেশের হিন্দুরা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক; আর আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিতরা বিএনপি'র।
৬৩
ছাত্র সংগঠনের ক্যাডার, আর বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারদের কর্মকাণ্ড অভিন্ন হলেও প্রথম দল অবৈধ অস্ত্র বহনের সুবিধা লাভ করে।
৬৪
ওয়াজ নছিহতে কোন পীর 'দুশমন' এবং 'গাদ্দার' শব্দ দু'টি ঘন ঘন ব্যবহার করলে বুঝতে হবে বাংলাদেশে অচিরেই আরেকটি ইসলামী দল তৈরী হতে যাচ্ছে।
৬৫
মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধু পরিবার সহানুভূতি পেয়েছে; আর শহীদ জিয়া পরিবার পেয়েছে জনপ্রিয়তা।
৬৬
মৃত্যুর ধরন একরকম হলেও জিয়াউর রহমানের মতো শেখ মুজিবের নামের আগে 'শহীদ' উপাধি যুক্ত না হওয়াটা রাজনৈতিক নয়, শৈল্পিক।
৬৭
'অর্ধেক মৌলবাদ' বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব না থাকলেও 'মডারেট মুসলিম রাষ্ট্র' উপাধীটি বাংলাদেশের মানুষেরা উদারভাবে গ্রহন করেছে।
৬৮
জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে শুধু মৌলবাদকে; জোটভূক্ত হলেও বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও মৌলবাদ দু'টিকেই সমর্থন করে।
৬৯
জামায়াতের দেখাদেখি আওয়ামী লীগ, বিএনপি'র কর্মীরাও 'অসাম্প্রদায়িক' শব্দটাকে অনৈসলামিক ভাবতে শুরু করেছে।
৭০
রাশিয়া ভাঙ্গার পর থেকে বাংলাদেশের বাম রাজনীতিকরা নিজেদের মস্কোপন্থী বা পিকিংপন্থী ভাবার পরিবর্তে আওয়ামীপন্থী, বিএনপিপন্থী কিংবা জামায়াতপন্থী ভাবতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
৭১
বাংলাদেশে মওদুদীবাদীরা আহমেদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম মনে করে।
৭২
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মৌলবাদ পলকা সূতায় ঝুলিয়ে রাখা একটি ছুড়ি ; প্রতিক্ষণে যেটি হৃদপিণ্ড বরাবর নেমে আসছে।
৭৩
সকল মুক্তিযোদ্ধা আমৃত্যু দেশপ্রেমী নন; কিন্তু সকল রাজাকার চিরদিনই দেশদ্রোহী।
৭৪
রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার অধার্মিকদের শেষ অস্ত্র।
৭৫
শেখ হাসিনা ডাঃ ইউনুসের রাজনৈতিক দল গঠনের আগ্রহকে বলেছিলেন, 'খায়েশ'। শেখ হাসিনা নিজের মানসিকতা প্রকাশে উপযুক্ত শব্দগুলোই সব সময় ব্যবহার করতে ভালোবাসেন।
৭৬
ধার্মিকদের মতো রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা কোন প্রকার যুক্তি ছাড়াই নিজের দলকে শ্রেষ্ঠ ভাবেন।
৭৭
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যত নেই; শুধু অতীত আছে।
৭৮
জামায়াত শিবিরের কর্মীরা বাংলা এবং ফারসি ভাষায় 'রাজাকার' শব্দটির অর্থটি জানে; আর অন্যরা জানে শুধু বাংলা ভাষারটি।
৭৯
মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেম পরীক্ষার বিষয় অসীম; কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের পরীক্ষাটি বাংলাদেশের সংবিধানের কতিপয় ধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
৮০
বিএনপি সমর্থিত সংবাদপত্রগুলো খালেদা জিয়ার ক্যাণ্টনমেণ্টের বাড়ীকে 'শহীদ মইনুল রোডের বাড়ী' নামে উল্লেখ করে।
৮১
সন্তানহীন কিংবা বন্ধ্যা রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশে ভোটের রাজনীতিতে অজনপ্রিয়।
৮২
খালেদা জিয়ার 'আপোষহীন নেত্রী' উপাধাটি নব্বই-এর দশকের সবচেয়ে বিড়ম্বনাময়, কিন্তু ব্যাপক কার্যকর একটি বিশেষণ।
৮৩
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইলকে গণশৌচাগার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
৮৪
বাংলাদেশের রাজনীতি সামনে আগায় না, জনগণের দিকে তেড়ে আসে।
৮৫
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সব কবিদের রাজনৈতিক পরিচয় জরুরি হয়ে পড়েছে।
৮৬
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতাদের ধারনা আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে আসাদুজ্জামান নূর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব লাভ করবেন; আর জোটের নেতৃস্থানীয় কেউ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর দায়িত্ব পাবেন।
৮৭
পৃষ্ঠপোষকতার নামে আওয়ামী লীগ ঘাতক দালাল নির্মূল ও জাতীয় সমন্বয় কমিটিসহ অসংখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলনের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে।
৮৮
বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চ্চাকে সামাজিক নয়, সরাসরি রাজনৈতিক আন্দোলন ভাবা হয়।
৮৯
বাংলাদেশে 'বনখেকো' হতে হলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী হতে হয়; তবে 'নদীখেকো'দের শুধু সংসদ সদস্য হলেই চলে।
৯০
ইতিহাস মানে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চতুর কর্মকর্তাদের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মর্জি বুঝে সমাজবিজ্ঞান বইয়ে শেখ মুজিবের নামের আগে কতবার বঙ্গবন্ধু বলা হবে তার হিসাব নিকাশ।
৯১
প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রিয়জন ছাড়তে পারেন; কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে পারেন না।
৯২
বাংলাদেশের রাজনীতি শিক্ষিত, স্বভবনাময় এবং স্বচ্ছল বাংলাদেশীদের প্রবাসী নামের উদ্বাস্তু হতে উৎসাহী করছে।
৯৩
মানুষ জন্মগতভাবে রাজনৈতিক জীব; বাঙ্গালীরা ঐক্যজোট অথবা চার দলীয়।
৯৪
প্রগতিবাদী ছাত্র সংগঠন অথবা মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন যে দলই বিশ্ববিদ্যালয় দখল করুক, পরিণতি একই; সন্ত্রাস।
৯৫
রাজনৈতিক বিভক্তি আমাদের মন্যুষত্ব খণ্ডিত করেনা; বিলুপ্ত করে।
৯৬
মুসলমানরা নন, মৌলবাদীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলিকে মূর্তিপূজা ভাবে।
৯৭
বাংলাদেশীরা ভুলে যান, একজনও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নির্বাচিত হলে দেশটির স্বাধীনতা শব্দটি লজ্জাবনত হয়।
৯৮
বাংলাদেশে অশিক্ষিত মানুষেরা পুলিশকেই সরকার ভাবেন; যে শুধু ঘুষই নেয়না, ডাকাতিও করে।
৯৯
বাংলা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ প্রবাসী বাঙ্গালীদের উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী।
১০০
আওয়ামী লীগ আর বিএনপি যখন একই সাথে ক্ষমতার বাইরে থাকে শুধু তখনই তারা পরস্পরকে ভালোবাসে।
১০১
জামায়াত এবং বিএনপির ঐক্য মিলনোদ্যত একটি ঘোড়া আর একটি গাধার ভালোবাসা প্রকাশের মতো; খচ্চর সেই মিলনের অবধারিত ফসল।
১০২
শফিক রেহমানের বাংলাদেশে 'ভ্যালেণ্টাইনস ডে' উদযাপনের বিষয়টি অরাজনৈতিক; কিন্তু যায়যায়দিন অফিস সংলগ্ন 'লাভ লেন'টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।
১০৩
একজন মৌলবাদী রাজনীতির কূটচাল বোঝে, ভালোবাসা বোঝে না।
১০৪
ভালোবাসা দিবসে জামায়াত নেতাদের বক্তৃতায় 'নাউযুবিল্লাহ' আর 'ওয়াছতাকফিরুল্লাহ' শব্দ দুটি ঘনঘন ব্যবহৃত হয়।
১০৫
সুবিধাবাদী প্রেমিক লম্পট; সুযোগ সন্ধানী প্রেমিক রাজনীতিবিদ।
১০৬
বিএনপি সমর্থকরা প্রশংসা করে খালেদা জিয়ার; কিন্তু ভালোবাসে নিযামীকে।
১০৭
রাজনৈতিক দলগুলোর ভালোবাসা মানে জোটবদ্ধ ক্ষমতার লোভ।
১০৮
এক সময় দলীয় প্রধানেরাই সংস্কারপন্থী নেতাদের সবচেয়ে বেশী ভালোবাসা বিতরন করেছেন।
১১০
ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর তার পুত্র মাহী বি চৌধুরী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন রাজতন্ত্রের প্রাচীন তত্ত্বের ভিত্তিতে। (দলের মধ্যে কোটালপুত্রের সম্ভাব্য প্রভাব বিস্তারের আশংকা রাজপুত্র তারেক সুনজরে দেখেননি।)
১১১
রাজনীতি গলফ থেকে শুরু করে হাডুডু পর্যন্ত বিস্তৃত।
১১২
বাকশাল পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি কাদের সিদ্দিকীই শুধু বঙ্গবন্ধু শব্দটিতে ভাগ বসাতে পেরেছেন।
১১৩
রাজনৈতিক আলোচনা বাঙ্গালীদের প্রধান বিনোদন।
১১৪
বাঙ্গালীরা খেলাধুলা নিয়েই শুধু রাজনীতি করেনা, খেলার মাঠ নিয়েও করে।
১১৫
রাজনীতি সাফ গেমসে হাডুডুতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে।
১১৬
রাজনৈতিক দলের নাম হিসেবে 'বিকল্প ধারা' কথাটি বিভ্রান্ত, দুর্বল আর অপুষ্টিতে আক্রান্ত।
১১৭
রাজনীতিতে অনুদান চাদাবাজির প্রতিশব্দ।
১১৮
'রাজনীতিতে বিতর্কিত ব্যক্তি' কথাটির মানে- যিনি একই সাথে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি বিরোধী।
১১৯
সহিংস রাজনীতিতে সাধারন মানুষ নিহত হয়, অস্ত্রধারী দলীয় কর্মী শহীদ হয়।
১২০
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুনিদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়।
১২১
প্রেম মানুষকে লজ্জাহীন করে; রাজনীতি করে নির্লজ্জ।
১২২
রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনগুলো মূল দলে ঠাঁই না পাওয়া মধ্যবয়স্ক ঠিকাদারদের প্রতিষ্ঠান।
১২৩
ছাত্র শিবির বাদে বাংলাদেশের সকল ছাত্র সংগঠন বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের জ্ঞানী ভাবে।
১২৪
আত্মীয়-স্বজন দল থেকে বহিস্কৃত হলে শেখ হাসিনা নয়, অনুদানে পরিচালিত আওয়ামী অঙ্গসংগঠনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
১২৫
জামায়াত একধরনের মানসিক বিকারগ্রস্তদের রাজনৈতিক সংগঠন; রোগটির বিস্তার শুরু হয় ছাত্র শিবিরের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে।
১২৬
খালেদা জিয়ার মন্ত্রী সভার কারো অপকর্মের দায় বিএনপি'র নয়; বিরোধী দলের।
১২৭
বাংলাদেশের রাজনীতির অভিধানে লজ্জা এবং ভয় বলে কোন শব্দ নেই।
১২৮
বাংলা প্রবাদ 'লজ্জায় নাক কাটা' কথাটির বাস্তব প্রয়োগ সম্ভব হলে ২০০৭ সালেই বিএনপি কর্মীরা নিজেরা নিজেদের কচুকাটা করত।
১২৯
মেধাহীন আর সন্ত্রাসীরাই বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী রাজনীতিতে সবচেয়ে টেকসই।
১৩০
বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে স্বাধীনতা বিরোধীদের ফায়ারিং স্কোয়াডে না পাঠিয়ে জাতীয় সংসদে বসান হয়েছে।
১৩১
মিটসেফ খোলা রেখে বিড়ালের কাছে সততা আশা করা যায় না।
১৩২
দুর্নীতি করার অধিকার মনোনয়ন বাণিজ্যে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের নৈতিক দাবী।
আওয়ামী পুলিশের নির্যাতন জাতীয়তাবাদী কর্মীদের পছন্দ না। আবার জাতীয়তাবাদী পুলিশের লাঠিপেটা আওয়ামী কর্মীদের বড়ই অপছন্দ। আসল সত্যটা হলো, আমরা শাসকদের লাথি খেতেই ভালবাসি।
২
রাজনীতি একধরনের খেলা; দুর্বৃত্ত আর উদ্ধতরাই যেখানে জয়ী হয়।
৩
হাসিনা খালেদা দুটি বড় সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান, এই মিথ্যাটি দশবার বললে সত্য হয়ে যায়। কথাটি ভয়াবহ সত্য জেনেই এটিকে আমরা মিথ্যা ভাবি।
৪
গরীব রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ পাপ। গরীব এবং দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ মহাপাপ। কিন্তু গরীব এবং দুর্নীতিগ্রস্ত মুসলিম রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ খুব সম্ভবত অপরাধ।
৫
অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরনো মৌলবাদী দল।
৬
ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের সবাই হজে যান ক্বাবা দর্শনের লোভে নয়, সৌদি দাক্ষিণ্য লাভে।
৭
শেখ মুজিবের মতো 'সেলেব্রিটি ইমেজ' নেই বলেই বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরা সাধারণ কোন মানুষের হত্যাকান্ডের বিচার চান না।
৮
আব্দুল গাফফার চৌধুরী আওয়ামী লীগের কর্মী নন, দালাল।
৯
জীবনে একবারও যদি কোন কারণে জামায়াতে ইসলামের পক্ষে কথা বলে থাকেন, তবে জানবেন, আপনি শুধু সুবিধাবাদীই নন- নৈতিক অধপতনগ্রস্থ।
১০
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাঐক্য জোটে এরশাদের যোগদান কোন রাজনৈতিক সখ্যতা নয়, রাজনৈতিক ব্যাভিচার।
১১
জামায়াত, জাতীয়পার্টি এবং বামদল বাংলাদেশের রাজনীতির উচ্ছিট অন্নভোগী।
১২
রাজনীতিতে উচ্চাভিলাষী সেনাপ্রধান নয়, চেনা দুর্নীতিবাজই বেশী গণত্ন্ত্রী।
১৩
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া অচিকিৎস্য এক ধরনের চর্মরোগের মতো, শীতকালে যার প্রকোপ বাড়ে।
১৪
শেখ মণিকে দুস্কৃতকারী বললে শেখ হাসিনা তার প্রতিবাদ করেন। আপনার মতো মহামান্য আদালতও জানেন না আসল সত্যটি কি।
১৫
শেখ হাসিনার পূর্বপুরুষ আরব থেকে এসেছিলেন। খালেদা জিয়ারও তাই। খাঁটি বাংলাদেশী কিংবা বাংগালী কোন রাজনীতিবিদ কি দেশে আছেন?
১৬
গণতন্ত্রের কোন শারীরিক অবয়ব নেই বলেই শতভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত সাংসদদের কতিপয় জেলহাজতে গেলেই গণতন্ত্র বিনষ্ট হয়না। যেমন, নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়না।
১৭
মুজিব কোট আর মৃত মুজিব ছাড়া এখন আওয়ামী লীগের আর কি আছে?
১৮
জামায়াত এখনো বিএনপির কাঁধে ভর করেনি, হাত রেখেছে মাত্র।
১৯
আমাদের পক্ষে সবই সম্ভব, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা ছাড়া।
২০
শুধু এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, সেপ্টম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর কিংবা জানুয়ারী ছাড়া ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারী, মার্চ কিংবা আগষ্ট মাসে একজন জামায়াত নেতা কি ভাবেন আন্দাজ করা যায়।
২১
একজন মা তার রাজাকার পুত্রের পাতে ভাত তুলে দিচ্ছেন; একজন মা একজন খুনীর শরীরে পুষ্টির যোগান দিচ্ছেন।
২২
পল্টন ময়দানে এরশাদের সাথে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার কি নূর হোসেনের কথা মনে পড়ে?
২৩
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, হাজি সেলিমেরও একটি মুজিব কোট আছে।
২৪
হাসিনা এবং খালেদার পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ আর তার প্রকাশ নোংরা নয়, কুৎসিত।
২৫
পাকিস্তান ছাড়া শুধুমাত্র বাংলাদেশেই রাজনীতিবিদদের ইউনিফর্ম চালু আছে।
২৬
হাসিনা রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে 'ইয়েস' উদ্দিন নামে ডাকলেও ওয়াজেদ মিয়াকে কোনদিন 'ওয়াজ হেড' মিয়া বলে ডাকেননি।
২৭
বাংলাদেশে পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা একে অন্যকে ঘৃনা করে; নেতারা একে অন্যকে ঘৃনা করে এবং কুৎসিত ভাষায় গালি দেয়; কর্মীরা একে অন্যকে ঘৃনা করে, কুৎসিত ভাষায় গালি দেয় এবং খুন করে।
২৮
রাজনীতিতে অপছন্দ শব্দটির একটিই মানে- ঘৃনা।
২৯
'আমার কম্বল কোথায়'-এর মতো করে খালেদা জিয়া বলতেই পারেন, 'আমার টিন কোথায়?'
৩০
খাসা বাংলায় সংস্কার শব্দটির মানে- 'মাইনাস'।
৩১
ক্ষমতা আর কবিত্ব শক্তি একত্রে মানুষকে চরিত্রহীন করে তুলতে পারে, এরশাদকে দেখেই বোঝা যায়।
৩২
বাংলাদেশে শেখ মুজিবকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী গান; আর গোলাম আযমকে নিয়ে সবচেয়ে বেশী ছড়া লেখা হয়েছে।
৩৩
রাজনীতিবিদরা সুবিধাজনক অবস্থান থেকে বিকৃত, অস্পট এবং বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গটি মনে রেখেছেন।
৩৪
বিদিশার ঘর ভাঙ্গার দায় শুধু জাতীয় পার্টি এবং এরশাদের নয়, আওয়ামী লীগ আর বিএনপি'রও।
৩৫
রাজনীতিবিদরা নিজেদের প্রতিপক্ষের জন্য গর্ত খোঁড়েন এবং সবাইকে নিয়ে সেই গর্তে পড়েন।
৩৬
হাজি সেলিম আর নাসির উদ্দিন পিন্টুর মাঝ থেকে যখন একজনকে ভোট দেয়া 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির' কিংবা 'শহীদ জিয়ার সৈনিকদের' নৈতিক দায়িত্ব- সেই নির্বাচনে মনুষত্বই পরাজিত হয়।
৩৭
সীমান্তের বাইরে আমাদের প্রভু নয়, বন্ধু রয়েছে। কিন্তু দূতাবাস গুলোতে রয়েছে ঈশ্বর।
৩৮
বাতিল হওয়া নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' কথাটি নতুন শিখেছেন। আর আমরা শিখেছি দুটো- 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' এবং 'মনোনয়ন বাণিজ্য'।
৩৯
জেল হচ্ছে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের জন্য আশীর্বাদ; ওখান থেকে তারা চৌর্যবৃত্তির জন্য সত্যিকারের সার্টিফিকেট লাভ করেন।
৪০
বিএনপি'র 'সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের' পদের পরেই তিতাস
গ্যাসের 'মিটার রিডারের' চাকরি বেশী লাভজনক।
৪১
এরশাদ তার সকল সাবেক স্ত্রী এবং বান্ধবীদের টুকরো টুকরো জাতীয় পার্টি উপহার দিয়েছেন।
৪২
রাজা এবং রাজপুত্রদের চারিত্রিক স্খলন বাংগালীরা অন্যায় ভাবেন না। আকণ্ঠ অন্যায় করে স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমা পেয়েছে, আর তারেক জিয়া তো পাবেই।
৪৩
কবি সৈয়দ শামসুল হক শেখ হাসিনাকে 'গণতন্ত্রের মানস কন্যা', 'ভাষা কন্যা', 'ধান কন্যা' ইত্যাদি উপাধি দিয়েছেন। উপাধির ভাঁড়ারও শেষ হয়; চামচামি অফুরান।
৪৪
একে-৪৭ রাইফেলের উৎপত্তি চল্লিশের দশকের শেষভাগে, রাশিয়ায়। কাটা রাইফেলের উৎপত্তি আশির দশকের শুরুতে, বাংলাদেশে।
৪৫
বিএনপি'র ছত্রছায়ায় গোলাম ফারুক অভি হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসী। জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে অভি এখন একাধারে লম্পট এবং সন্ত্রাসী।
৪৬
এস.এম হলের টিভি রুমে যেদিন ক্যান্টিন বয় 'টোকাই সাগর' রাইফেল হাতে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে বসে টিভি দেখলো, সেদিনই বুঝলাম মাও সেতুং ঠিকই বলেছেন, 'বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস'।
৪৭
ক্ষমতা হচ্ছে নির্বিষ সাপের মতো; যা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের গলায় ঝুলে আছে।
৪৮
১৯৯১-এ বিএনপি'র নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা ছিল 'শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়ন'। ১৯৯৬-এ বিএনপি'র নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা ছিল 'শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়ন'। ২০০১-এ বিএনপি'র নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা ছিল 'শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়ন'।
শহীদ জিয়ার ঊনিশ দফা বাস্তবায়নে সমস্যাটা কোথায়?
৪৯
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলে ধরে নিতে হবে আপনি জামায়াত কিংবা বিএনপি'র সমর্থক। বিএনপি'র সমালোচোনা করলে মনে হবে অবশ্যই আপনি আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল।
৫০
'ঈশ্বর বাংগালীদের নরকে কোন পাহাদার রাখবে না; নরক থেকে কেউ পালাতে চাইলে অন্য বাংগালীরাই তার পা টেনে ধরব।' ডঃ ইউনুসের রাজনীতি থেকে পশ্চদপসারন পুরনো এই গল্পের খুব ছোট এক উদাহরণ।
৫১
'প্রবল বামপন্থী' নেতা এবং 'প্রকট বাম-ভাবাদর্শী' লেখক বুদ্ধিজীবিরাই একাত্তর পরবর্তীতে 'চরম ডান' এবং 'তথাকথিত মধ্যপন্থীতে' রূপান্তরিত হয়েছেন।
৫২
শেখ হাসিনা তার সততা আর অধিকার আদায়ে লড়াকু মনোভাব প্রকাশ করতে মাঝে মাঝেই বলেন, 'আমি জাতির পিতার কন্যা'। শেখ হাসিনা 'জাতির পিতা' আর 'জৈবিক পিতৃত্ব' শব্দ দু'টির পার্থক্য জানেন না।
৫৩
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন মানে, এক নারীর 'জনগণের বিজয় হয়েছে' এবং অন্যজনের 'জনগণ প্রত্যাখান করেছে' বাণী।
৫৪
দুর্নীতির দায়ে সর্বোচ্চ কতজন জামায়াত নেতা জেলে গেলে জামায়াতে ইসলামী 'সৎলোকের শাসন চাই' শ্লোগানটি পরিহার করবে?
৫৫
ভোটের আগে শেখ হাসিনা তসবি হাতে পোষ্টার ছাপেন; আর জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামি ফতোয়া দেন, 'ইসলামে নারী নেত্রীত্ব হারাম'। রাজনীতিতে বাংগালীদের 'মুসলিম সেন্টিমেন্ট' কিঞ্চিত স্পর্শকাতর।
৫৬
রাজনৈতিক ব্যভিচারীদের প্রিয় বুলি, 'জনগণের সেবা' এবং মাতৃভূমিকে ধর্ষণউদ্যোত লম্পটদের শেষ বুলি, 'সংবিধান রক্ষা'।
৫৭
'নিজামি', 'সাঈদী' অথবা 'গোলাম আযম' ইত্যাদি বাংলা ভাষায় 'মীর জাফর' বিশেষণটির প্রতিশব্দ।
৫৮
'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' কথাটির মানে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো যা নিজেই একটি বিবাদমান পক্ষ এবং সেনা সমর্থিত।
৫৯
বাংলা ভাষায় 'ধূর্ত' শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য।
৬০
দাগী মস্তানেরাই রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের কর্মী। তবে উঠতি সন্ত্রাসীরা সাধারন সম্পাদকের পদ লাভ করে।
৬১
যখন কোন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই', তখন বুঝে নিতে হবে- স্বাধীনতা বিরোধী অথবা জামায়াতপন্থী কোন বিএনপি নেতা মনোনয়ন বাণিজ্যে নৌকা মার্কা লাভ করেছেন।
৬২
বাংলাদেশের হিন্দুরা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক; আর আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিতরা বিএনপি'র।
৬৩
ছাত্র সংগঠনের ক্যাডার, আর বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারদের কর্মকাণ্ড অভিন্ন হলেও প্রথম দল অবৈধ অস্ত্র বহনের সুবিধা লাভ করে।
৬৪
ওয়াজ নছিহতে কোন পীর 'দুশমন' এবং 'গাদ্দার' শব্দ দু'টি ঘন ঘন ব্যবহার করলে বুঝতে হবে বাংলাদেশে অচিরেই আরেকটি ইসলামী দল তৈরী হতে যাচ্ছে।
৬৫
মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধু পরিবার সহানুভূতি পেয়েছে; আর শহীদ জিয়া পরিবার পেয়েছে জনপ্রিয়তা।
৬৬
মৃত্যুর ধরন একরকম হলেও জিয়াউর রহমানের মতো শেখ মুজিবের নামের আগে 'শহীদ' উপাধি যুক্ত না হওয়াটা রাজনৈতিক নয়, শৈল্পিক।
৬৭
'অর্ধেক মৌলবাদ' বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব না থাকলেও 'মডারেট মুসলিম রাষ্ট্র' উপাধীটি বাংলাদেশের মানুষেরা উদারভাবে গ্রহন করেছে।
৬৮
জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে শুধু মৌলবাদকে; জোটভূক্ত হলেও বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও মৌলবাদ দু'টিকেই সমর্থন করে।
৬৯
জামায়াতের দেখাদেখি আওয়ামী লীগ, বিএনপি'র কর্মীরাও 'অসাম্প্রদায়িক' শব্দটাকে অনৈসলামিক ভাবতে শুরু করেছে।
৭০
রাশিয়া ভাঙ্গার পর থেকে বাংলাদেশের বাম রাজনীতিকরা নিজেদের মস্কোপন্থী বা পিকিংপন্থী ভাবার পরিবর্তে আওয়ামীপন্থী, বিএনপিপন্থী কিংবা জামায়াতপন্থী ভাবতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
৭১
বাংলাদেশে মওদুদীবাদীরা আহমেদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম মনে করে।
৭২
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মৌলবাদ পলকা সূতায় ঝুলিয়ে রাখা একটি ছুড়ি ; প্রতিক্ষণে যেটি হৃদপিণ্ড বরাবর নেমে আসছে।
৭৩
সকল মুক্তিযোদ্ধা আমৃত্যু দেশপ্রেমী নন; কিন্তু সকল রাজাকার চিরদিনই দেশদ্রোহী।
৭৪
রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার অধার্মিকদের শেষ অস্ত্র।
৭৫
শেখ হাসিনা ডাঃ ইউনুসের রাজনৈতিক দল গঠনের আগ্রহকে বলেছিলেন, 'খায়েশ'। শেখ হাসিনা নিজের মানসিকতা প্রকাশে উপযুক্ত শব্দগুলোই সব সময় ব্যবহার করতে ভালোবাসেন।
৭৬
ধার্মিকদের মতো রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা কোন প্রকার যুক্তি ছাড়াই নিজের দলকে শ্রেষ্ঠ ভাবেন।
৭৭
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যত নেই; শুধু অতীত আছে।
৭৮
জামায়াত শিবিরের কর্মীরা বাংলা এবং ফারসি ভাষায় 'রাজাকার' শব্দটির অর্থটি জানে; আর অন্যরা জানে শুধু বাংলা ভাষারটি।
৭৯
মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেম পরীক্ষার বিষয় অসীম; কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের পরীক্ষাটি বাংলাদেশের সংবিধানের কতিপয় ধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
৮০
বিএনপি সমর্থিত সংবাদপত্রগুলো খালেদা জিয়ার ক্যাণ্টনমেণ্টের বাড়ীকে 'শহীদ মইনুল রোডের বাড়ী' নামে উল্লেখ করে।
৮১
সন্তানহীন কিংবা বন্ধ্যা রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশে ভোটের রাজনীতিতে অজনপ্রিয়।
৮২
খালেদা জিয়ার 'আপোষহীন নেত্রী' উপাধাটি নব্বই-এর দশকের সবচেয়ে বিড়ম্বনাময়, কিন্তু ব্যাপক কার্যকর একটি বিশেষণ।
৮৩
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইলকে গণশৌচাগার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
৮৪
বাংলাদেশের রাজনীতি সামনে আগায় না, জনগণের দিকে তেড়ে আসে।
৮৫
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সব কবিদের রাজনৈতিক পরিচয় জরুরি হয়ে পড়েছে।
৮৬
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতাদের ধারনা আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে আসাদুজ্জামান নূর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব লাভ করবেন; আর জোটের নেতৃস্থানীয় কেউ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর দায়িত্ব পাবেন।
৮৭
পৃষ্ঠপোষকতার নামে আওয়ামী লীগ ঘাতক দালাল নির্মূল ও জাতীয় সমন্বয় কমিটিসহ অসংখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলনের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে।
৮৮
বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চ্চাকে সামাজিক নয়, সরাসরি রাজনৈতিক আন্দোলন ভাবা হয়।
৮৯
বাংলাদেশে 'বনখেকো' হতে হলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী হতে হয়; তবে 'নদীখেকো'দের শুধু সংসদ সদস্য হলেই চলে।
৯০
ইতিহাস মানে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চতুর কর্মকর্তাদের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মর্জি বুঝে সমাজবিজ্ঞান বইয়ে শেখ মুজিবের নামের আগে কতবার বঙ্গবন্ধু বলা হবে তার হিসাব নিকাশ।
৯১
প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রিয়জন ছাড়তে পারেন; কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে পারেন না।
৯২
বাংলাদেশের রাজনীতি শিক্ষিত, স্বভবনাময় এবং স্বচ্ছল বাংলাদেশীদের প্রবাসী নামের উদ্বাস্তু হতে উৎসাহী করছে।
৯৩
মানুষ জন্মগতভাবে রাজনৈতিক জীব; বাঙ্গালীরা ঐক্যজোট অথবা চার দলীয়।
৯৪
প্রগতিবাদী ছাত্র সংগঠন অথবা মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন যে দলই বিশ্ববিদ্যালয় দখল করুক, পরিণতি একই; সন্ত্রাস।
৯৫
রাজনৈতিক বিভক্তি আমাদের মন্যুষত্ব খণ্ডিত করেনা; বিলুপ্ত করে।
৯৬
মুসলমানরা নন, মৌলবাদীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলিকে মূর্তিপূজা ভাবে।
৯৭
বাংলাদেশীরা ভুলে যান, একজনও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নির্বাচিত হলে দেশটির স্বাধীনতা শব্দটি লজ্জাবনত হয়।
৯৮
বাংলাদেশে অশিক্ষিত মানুষেরা পুলিশকেই সরকার ভাবেন; যে শুধু ঘুষই নেয়না, ডাকাতিও করে।
৯৯
বাংলা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ প্রবাসী বাঙ্গালীদের উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী।
১০০
আওয়ামী লীগ আর বিএনপি যখন একই সাথে ক্ষমতার বাইরে থাকে শুধু তখনই তারা পরস্পরকে ভালোবাসে।
১০১
জামায়াত এবং বিএনপির ঐক্য মিলনোদ্যত একটি ঘোড়া আর একটি গাধার ভালোবাসা প্রকাশের মতো; খচ্চর সেই মিলনের অবধারিত ফসল।
১০২
শফিক রেহমানের বাংলাদেশে 'ভ্যালেণ্টাইনস ডে' উদযাপনের বিষয়টি অরাজনৈতিক; কিন্তু যায়যায়দিন অফিস সংলগ্ন 'লাভ লেন'টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।
১০৩
একজন মৌলবাদী রাজনীতির কূটচাল বোঝে, ভালোবাসা বোঝে না।
১০৪
ভালোবাসা দিবসে জামায়াত নেতাদের বক্তৃতায় 'নাউযুবিল্লাহ' আর 'ওয়াছতাকফিরুল্লাহ' শব্দ দুটি ঘনঘন ব্যবহৃত হয়।
১০৫
সুবিধাবাদী প্রেমিক লম্পট; সুযোগ সন্ধানী প্রেমিক রাজনীতিবিদ।
১০৬
বিএনপি সমর্থকরা প্রশংসা করে খালেদা জিয়ার; কিন্তু ভালোবাসে নিযামীকে।
১০৭
রাজনৈতিক দলগুলোর ভালোবাসা মানে জোটবদ্ধ ক্ষমতার লোভ।
১০৮
এক সময় দলীয় প্রধানেরাই সংস্কারপন্থী নেতাদের সবচেয়ে বেশী ভালোবাসা বিতরন করেছেন।
১১০
ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর তার পুত্র মাহী বি চৌধুরী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন রাজতন্ত্রের প্রাচীন তত্ত্বের ভিত্তিতে। (দলের মধ্যে কোটালপুত্রের সম্ভাব্য প্রভাব বিস্তারের আশংকা রাজপুত্র তারেক সুনজরে দেখেননি।)
১১১
রাজনীতি গলফ থেকে শুরু করে হাডুডু পর্যন্ত বিস্তৃত।
১১২
বাকশাল পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি কাদের সিদ্দিকীই শুধু বঙ্গবন্ধু শব্দটিতে ভাগ বসাতে পেরেছেন।
১১৩
রাজনৈতিক আলোচনা বাঙ্গালীদের প্রধান বিনোদন।
১১৪
বাঙ্গালীরা খেলাধুলা নিয়েই শুধু রাজনীতি করেনা, খেলার মাঠ নিয়েও করে।
১১৫
রাজনীতি সাফ গেমসে হাডুডুতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে।
১১৬
রাজনৈতিক দলের নাম হিসেবে 'বিকল্প ধারা' কথাটি বিভ্রান্ত, দুর্বল আর অপুষ্টিতে আক্রান্ত।
১১৭
রাজনীতিতে অনুদান চাদাবাজির প্রতিশব্দ।
১১৮
'রাজনীতিতে বিতর্কিত ব্যক্তি' কথাটির মানে- যিনি একই সাথে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি বিরোধী।
১১৯
সহিংস রাজনীতিতে সাধারন মানুষ নিহত হয়, অস্ত্রধারী দলীয় কর্মী শহীদ হয়।
১২০
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুনিদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়।
১২১
প্রেম মানুষকে লজ্জাহীন করে; রাজনীতি করে নির্লজ্জ।
১২২
রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনগুলো মূল দলে ঠাঁই না পাওয়া মধ্যবয়স্ক ঠিকাদারদের প্রতিষ্ঠান।
১২৩
ছাত্র শিবির বাদে বাংলাদেশের সকল ছাত্র সংগঠন বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের জ্ঞানী ভাবে।
১২৪
আত্মীয়-স্বজন দল থেকে বহিস্কৃত হলে শেখ হাসিনা নয়, অনুদানে পরিচালিত আওয়ামী অঙ্গসংগঠনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
১২৫
জামায়াত একধরনের মানসিক বিকারগ্রস্তদের রাজনৈতিক সংগঠন; রোগটির বিস্তার শুরু হয় ছাত্র শিবিরের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে।
১২৬
খালেদা জিয়ার মন্ত্রী সভার কারো অপকর্মের দায় বিএনপি'র নয়; বিরোধী দলের।
১২৭
বাংলাদেশের রাজনীতির অভিধানে লজ্জা এবং ভয় বলে কোন শব্দ নেই।
১২৮
বাংলা প্রবাদ 'লজ্জায় নাক কাটা' কথাটির বাস্তব প্রয়োগ সম্ভব হলে ২০০৭ সালেই বিএনপি কর্মীরা নিজেরা নিজেদের কচুকাটা করত।
১২৯
মেধাহীন আর সন্ত্রাসীরাই বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী রাজনীতিতে সবচেয়ে টেকসই।
১৩০
বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে স্বাধীনতা বিরোধীদের ফায়ারিং স্কোয়াডে না পাঠিয়ে জাতীয় সংসদে বসান হয়েছে।
১৩১
মিটসেফ খোলা রেখে বিড়ালের কাছে সততা আশা করা যায় না।
১৩২
দুর্নীতি করার অধিকার মনোনয়ন বাণিজ্যে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের নৈতিক দাবী।
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home